এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলে ওমরাহ ফ্রি

বাংলাদেশে এমন কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো শুধু ব্যবসার জন্যই নয়, বরং মানবিকতা, ভালোবাসা আর আন্তরিকতার জন্যও পরিচিত। এইচপি ভুইয়া স্টিল কর্পোরেশন তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান, যেটি নিয়ে মানুষের মুখে মুখে গল্প শোনা যায়। এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় পরিচয়—এখানে কর্মরত প্রায় সবাইই ধর্মপ্রাণ, নৈতিকতায় দৃঢ়, এবং “হুজুর” নামে পরিচিত মানুষ। যেন পুরো প্রতিষ্ঠানটাই এক পরিবারের মতো, যেখানে কাজের সাথে সাথে ধর্মীয় মূল্যবোধ, পারস্পরিক সম্মান আর ভালোবাসার বন্ধন অটুটভাবে বিদ্যমান।

এই অসাধারণ পরিবেশের মূল কারিগর হলেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পেয়ার আহমেদ ভুইয়া। তিনি শুধু একজন সফল ব্যবসায়ীই নন, বরং একজন উদার মনের, নিরহংকারী এবং নির্লোভ ব্যক্তি। ব্যবসায়িক ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি তাঁর কর্মীদের প্রতি এমন আন্তরিক ভালোবাসা দেখান, যা আজকের সমাজে বিরল। সাধারণত আমরা দেখি, কর্মী ও বসের মধ্যে একটি দূরত্ব থেকে যায়—যেন তারা দুই ভিন্ন জগতের মানুষ। কিন্তু এইচপি ভুইয়া স্টিল কর্পোরেশনে সেই দূরত্ব মুছে দিয়েছে একজন মানুষের সরলতা আর মানবিকতা।

প্রতিদিনের কাজের বাইরে পেয়ার আহমেদ ভুইয়া এমন কিছু করেন, যা অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের মালিকরাও ভাবেন না। তিনি নিয়মিত নিজ হাতে কর্মীদের খাবার পরিবেশন করেন। কেউ অতিথি হয়ে আসুক বা প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী কর্মী হোক—সবার সাথে তাঁর আচরণ একই। তিনি প্রতিটি মানুষকে মেহমান ভেবে আপ্যায়ন করেন। নিজের হাতে খাবার তুলে দেওয়ার সময় তাঁর চোখে যে আন্তরিকতা দেখা যায়, তা শুধু কর্মীদের মন জয়ই করে না, বরং তাদের মনে বসের প্রতি এক অগাধ সম্মান আর ভালোবাসার জন্ম দেয়।

আরও বিস্ময়কর বিষয় হলো—তিনি তাঁর কর্মীদের শুধু কাজের মানুষ হিসেবে দেখেন না, বরং ভাইয়ের মতো ভাবেন। ব্যবসায়িক লাভ-ক্ষতির হিসাবের বাইরে গিয়েও তিনি কর্মীদের কল্যাণে কাজ করেন। এজন্যই প্রতি মাসে একাধিক সেরা কর্মীকে তিনি নিজ খরচে ওমরাহ পালন করার জন্য সৌদি আরবের পবিত্র ভূমিতে পাঠান। এই উদ্যোগ শুধু কর্মীদের অনুপ্রাণিতই করে না, বরং সবার মনে বিশ্বাস জন্ম দেয় যে, এই প্রতিষ্ঠান কেবল কাজ করার জায়গা নয়—এটি স্বপ্ন পূরণেরও জায়গা।

পেয়ার আহমেদ ভুইয়ার এই উদ্যোগ অনেকের জীবন বদলে দিয়েছে। যারা আগে কখনো ভাবতেও পারেনি যে তারা জীবনে কাবা শরীফ দেখতে যাবে, তারা এই প্রতিষ্ঠানের কারণে সেই সৌভাগ্য অর্জন করেছে। কর্মীদের এই সুযোগ দেওয়া কেবল একটি পুরস্কার নয়, বরং এটি একটি ইবাদতের সুযোগ, যা তাদের জীবনকে আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধ করে।

এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা নিঃসন্দেহে অনেক বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। যেখানে বস নিজে সবার খোঁজ নেন, হাতে খাবার পরিবেশন করেন, ভাইয়ের মতো ভালোবাসেন, এমনকি জীবনের অন্যতম বড় স্বপ্ন—পবিত্র ভূমিতে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন, সেখানে কাজ করার অনুভূতি যে কতটা আলাদা, তা শুধুমাত্র এখানকার কর্মীরাই বোঝে।

আজকের প্রতিযোগিতামূলক, স্বার্থপরতার ভিড়ে ভরা সমাজে পেয়ার আহমেদ ভুইয়ার মতো মানুষ এক বিরল দৃষ্টান্ত। তাঁর উদারতা, বিনয় আর কর্মীদের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—একজন ভালো নেতা শুধু নির্দেশ দেন না, বরং ভালোবাসা দিয়ে পথ দেখান। আর সেই ভালোবাসাই প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি মানুষের মাঝে আনছে সুখ, শান্তি আর অনুপ্রেরণা।

আপনি যদি এমন একটি প্রতিষ্ঠানের গল্পে মুগ্ধ হন যেখানে বস আর কর্মী একই টেবিলে বসে খায়, যেখানে বসের হাতেই মেলে খাবার, আর যেখানে কাজ করলে স্বপ্নপূরণের দরজা খুলে যায়—তাহলে একবার কমেন্টে লিখুন, “পেয়ার আহমেদ ভুইয়া—আপনি সত্যিই অনন্য!”
এই প্রতিষ্ঠান শুধু ইস্পাত তৈরি করে না, বরং গড়ে তোলে মানুষের মন, সম্পর্ক আর ভালোবাসার এক দৃঢ় দুর্গ